বেদ পরবর্তী ব্রাহ্মণ ও আরণ্যকের শেষ অংশ হলো উপনিষদ। উপনিষদ বেদান্ত নামেও অভিহিত হয়ে থাকে। বেদান্ত শব্দের অর্থ হলো বেদের অন্ত বা শেষভাগ। উপনিষদ শব্দের একটি অর্থ, গুরুর নিকটে বসে নিশ্চয়ের সঙ্গে যে জ্ঞান অর্জন করা হয় তাই উপনিষদ। উপনিষদের আলোচ্য বিষয় হলো ব্রহ্ম। এখানে নিরাকার ঈশ্বরের কথা বলা হয়েছে। উপনিষদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে— এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মূলে আছেন একমাত্র ব্রহ্ম। তিনি সত্য ও চৈতন্যময়। এছাড়া আর যা কিছু রয়েছে সবই অসত্য ও জড়। সুতরাং ব্রহ্মপ্রাপ্তি হচ্ছে জীবের একমাত্র লক্ষ্য।
জীবের মূল সত্তা তার আত্মা। এই আত্মা হচ্ছে পরমাত্মা বা ব্রহ্মেরই অংশ। এই ব্রহ্ম নিরাকার। আত্মারূপে তিনি জীবের মধ্যে অবস্থান করে থাকেন। সুতরাং জীব ব্রহ্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ব্রহ্মজ্ঞানই হলো উপনিষদের বিষয়বস্তু। এই আত্মার কোনো বিনাশ নেই। উপনিষদের সংখ্যা অনেক। তবে বারটি উপনিষদ প্রধান উপনিষদ হিসেবে স্বীকৃত। এ উপনিষদগুলো হলো— ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ডক, মাণ্ডুক্য, ছান্দোগ্য, তৈত্তিরীয়, ঐতরেয়, শ্বেতাশ্বতর, বৃহদারণ্যক ও কৌষিকী।
আরও দেখুন...